বাড়ীর কাছেই রয়েছে এমন 'ফুলের উপত্যকা'হার মানাবে কাশ্মীর এর টিউলিপ ফুলের বাগান কেউ, উইকএন্ড এ অবশ্যই ঘুরে আসুন এখানে।
পুরোনো দিনে ছোটো বেলায় দেখতাম সিনেমার নায়ক নায়িকা ফুলের বাগান এর মধ্যে দিয়ে এপার থেকে ওপারে ছুটে যেত । আর আমরা কল্পনার মধ্যে নিজে দের ওখানে ভাবতাম যে কি অপরূপ মনোরম পরিবেশে কাজ করেছেন তারা । একবার টা যদি যেতে পারতাম ওখানে।
তবে শোনা যায় যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই ফুলের বাগান এর দৃশ্যের শুটিং গুলো কাশ্মীর এর টিউলিপ গার্ডেন অথবা সিকিম এ করা। এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়া সকলের সাধ্যের মধ্যে ছিল না বা এখনো নেই। কিন্তু এত সুন্দর মনোরম পরিবেশ যে এত কাছে টা ভাবতেও পারবেন না।
আজ যেই ফুলের বাগান এর কথা বলবো সেটা আমাদের রাজ্যের মধ্যেই। পূর্ব মেদনীপুরের ছোট্ট একটি গ্রাম ক্ষীরাই । ক্ষীরাই আসলে একটি নদীর নাম সেই নাম অনুসারেই এই গ্রামের নামকরণ।
কী ভাবে যাবেন?হাওড়া স্টেশন থেকে খড়গপুর কিংবা মেদনীপুর গামি ট্রেন ধরুন তারপর পাঁশকুড়া স্টেশন এর পরের স্টেশন ক্ষীরাই। সময় লাগে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। এরপর ৩নম্বর স্টেশন ধরে সোজা যেতে হবে এরপর ২৫ মিনিট মতো হেঁটে যেতে হবে বা রিকশা তে উঠলেই খুব জলদি পৌঁছে যাবেন সেখানে। সোজা মাটির রাস্তা ধরে কিছুদূর যাওয়ার পর কসাই নদীর দুই ধরেই বিঘার পর বিঘা শুধুই মাত্র ফুলের বাহার।
কি ফুল নেই সেখানে গোলাপ,জারবেরা,চন্দ্রমল্লিকা,ডা
শুধু যে ফুল সেটা কিন্তু নয় রয়েছে বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য। নানা রঙের প্রজাপতি যা ফুলের গন্ধে এসে ভরে যায় পুরো বাগান এ,এছাড়া রয়েছে নানান বাহারি পাখি,এবং নানান প্রজাতির পোকামাকড়।
কাশ্মীর এর টিউলিপ গার্ডেন অথবা সিকিম এর অর্কিড গার্ডেন এর চেয়ে কোনো অংশে কম নেই এখানে। দূর্গা পূজার পর থেকেই এখানে ফুলের চাষ শুরু হয়ে যায়। গোটা রাজ্য জুড়ে ফুল রপ্তানী করা হয়। এছাড়া দেশে দেশের বাইরেও প্রচুর জনপ্রিয়তা পায় ক্ষীরাই এর সব ফুল ।পুরো শীতকাল জুড়ে থাকে ফুলের চাদরের নীচে। সবচেয়ে বেশি চাষ হয় গাঁদা ফুল। উত্তরে হওয়ার মিষ্টি ছোঁয়া আর সাথে ফুলের মনমাতানো সুগন্ধ সবটা মিলিয়ে আসা করি কোন ভাবেই নিরাশ হবেন না
তাই আর দেরি না করে অবশ্যই ঘুরে আসুন এমন রূপকথার দেশ থেকে যা আপনার বাড়ীর খুব কাছেই।